অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ভারতের বাজারে দ্রুত বাড়ছে রপ্তানি। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। চলমান গতিশীলতা বজায় থাকলে বছর শেষে রপ্তানি আয় বাড়তে পারে কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলার। আর মোট রপ্তানি ছাড়াতে পারে ৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী বিশাল বাজার ভারত। প্রায় ১৩০ কোটি মানুষের দেশটিতে রপ্তানি বৃদ্ধির রয়েছে অপার সম্ভাবনা। পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যে ভারত শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ায় সুযোগ আরো বেড়েছে।
ইতিমধ্যেই যার সুফল পেতে শুরু করেছেন দেশের রপ্তানিকারকরা। দ্রতগতিতে বাড়ছে ভারতে পণ্য রপ্তানি। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ভারতের বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ২২ দশমিক ৮ শতাংশ।
এ সময়ে দেশটিতে ৬১ কোটি ২৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। রপ্তানির এ গতি অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছর শেষে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩০০ কোটি তথা ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়াতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহামাদ বলেন, “যখন আমাদের এক্সপোর্টাররা ভারতকে একটা বড় বাজার হিসাবে গণ্য করা শুরু করল তখন থেকেই রপ্তানি বাড়া শুরু হয়েছে। আজ আমরা এক বিলিয়ন ছাড়িয়ে দুই বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির দিকে ঝুঁকছি। এভাবে গেলে আমরা তিন বিলিয়নের দিকে যেতে পারবো।”
“বাংলাদেশের গার্মেন্টস প্রোডাক্ট আমদানি করা ভারতের জন্য সাশ্রয়ী।” বলেন অর্থনীতিবিদ ড. মনজুর হোসেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির তথ্য বলছে, ভারত বাংলাদেশের সপ্তম শীর্ষ রপ্তানির গন্তব্য। দেশটিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে এখনো কিছু অশুল্ক বাধা রয়ে গেছে। এসব সমস্যার সমাধান করা জরুরি বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনীতিবিদ ড. মনজুর হোসেন বলেন, “অশুল্ক বাধা দূর করার জন্য সরকার বিভিন্ন সময়ে দ্বিপাক্ষিকভাবে ভারতের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।”
“এই পাট এবং অন্যান্য দুচারটা যে বাধা রয়েছে সেটা নিয়ে জোরালোভাবে সরকার থেকে ভারতীয় সরকারের কাছে এটা প্লেস করতে হবে।” বলেন ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহামাদ।
গত অর্থবছরে ভারতের বাজারে ১৯৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ, যার মধ্যে ৭১ কোটি ৫৪ লাখ ডলারই ছিল তৈরি পোশাক।
Leave a Reply